ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

আজ বিশাল সংবর্ধণা, চকরিয়া উপজেলার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীর সমর্থনে কলাগাছ মিছিল অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

আজ বিকালে চকরিয়া পেৌরসদরের পুরাতন এস আলম কাউন্টার সংলগ্ন জনতা শপিং সেন্টারের সামনে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর বিশাল গণ সংবর্ধণা অনুষ্টানের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।চকরিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে এ গণসংবর্ধণা অনুষ্টিত হবে। এ বিশাল সংবর্ধণাকে ঘিরে চকরিয়া সদর তাজা কলা গাছে চেয়ে গেছে। পুরো সদর জুড়ে শুধু চোখে পড়ে কলা গাছ আর কলাগাছ।বিশেষ করে শ্রমজীবি-খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বিকল্প প্রার্থী হিসেবে কলাগাছকে আপন করে নিয়েছে। রিক্সা, টমটম, সিএনজি, জিপ, মাইক্রোবাস, হাইয়েস, বাস ও ট্রাক সবখানে শোভা পাচ্ছে কলাগাছ।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদীর সমর্থনে উপজেলার আনাচে কানাচে এখনো কলাগাছ রোপন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অলিগলিতে কলাগাছে ছেঁেয় গেছে বির্স্তীন জনপদ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া পৌরশহরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনতা কলাগাছ নিয়ে বিশাল মিছিল করেছে। অপরদিকে নির্বাচনে জনপ্রিয় প্রার্থী সাঈদীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামার ঘোষনা দিলেন চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মীরা।

অবশ্য ১০ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে অপর একজনকে মনোনয়ন দেয়া কথা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড থেকে ঘোষনা দেয়ার পরপর চকরিয়া উপজেলাজুড়ে আওয়ামীলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীর সমর্থনে কলাগাছ রোপন শুরু করেন। নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগন এবং সমর্থকরা নিজেদের উদ্যোগে জনপ্রিয় নেতা সাঈদীর পক্ষে এলাকার প্রতিটি জনবহুল স্টেশনে কলাগাছ রোপন করেছে। কলাগাছ রোপন করা হয়েছে চকরিয়া থানার সামনে।

একইভাবে কলাগাছ রোপন করা হয়েছে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাণিজ্যিক জনপদ চকরিয়া শহরে। পাশাপাশি চকরিয়া পৌরসভার ১, ২, ৩, ৮ ও ৯নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জনপদে রাস্তার পাশে, বাড়ির আঙ্গিনায়, দোকানের সামনে সারি সারি কলাগাছ রোপন করেছে। অপরদিকে কলাগাছ রোপন করা হয়েছে উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, মালুমঘাট, উত্তর হারবাং, উপকুলের বদরখালী, বিএমচর, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পুর্ববড় ভেওলা, সাহারবিল ও চিরিঙ্গা ইউনিয়নের অলিগলিতে।

নাগরিক কমিটির প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, গত দুইযুগ ধরে চকরিয়া জনপদে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছি। দলের দু:সময়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে থেকে অগ্রভাগে ছিলাম। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে জোট সরকার আমলে কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আড়াইবছর কারাভোগ করেছি। দল থেকে বিনিময়ে কিছুই পায়নি।

সেইজন্য এবার সিদ্বান্ত নিয়েছি দলের মনোনয়ন না পেলেও আমি নাগরিক কমিটির ব্যানারে জনগনের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে লড়ে যাব। নির্বাচনে লড়তে গিয়ে শত প্রতিকুল পরিস্থিতি সামনে আসলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে তিনি সরে দাঁড়াবো না। ইনশাল্লাহ আগামী ১৮ মার্চ চকরিয়া উপজেলা ও পৌরবাসির অকুন্ঠ ভালবাসায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হবো।

এইজন্য আমি সকল ধরণের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার মাধ্যমে নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় নিশ্চিতে সকল স্তরের নেতাকর্মী ও সংগ্রামী চকরিয়াবাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন।

 

পাঠকের মতামত: